ভারতে বিজেপি নেতা কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে কটুক্তির প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানো ও রাসূল (সা.) কে মানহানী করার শাস্তি মৃত্যুদন্ড জারি করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় নারায়ে তাকবীর আল্লাহ আকবার স্লোগানে প্রকম্পিত হয় ক্যাম্পাস।

শুক্রবার (১০ জুন) জুমআ’র নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ হতে মানববন্ধনটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে এসে মিলিত হয়। মানববন্ধনে প্রায় ২ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এসময় তাদের হাতে ‘নিশ্চয় তোমাদের জন্য রাসূল (সা.) এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ-আল কুরআন’ ‘বিশ্ব নবীর অপমান সইবে নারে মুসলমান’ ‘রাসূল (সা.) আমার আদর্শ, কারণ বিধর্মীরাও রাসূল (সা.) এর আদর্শে মুগ্ধ হয়েছিল’ ‘আমরা মুহাম্মদ (সা.) কে ভালবাসি’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত পোস্টার দেখা যায়।

মহানবী (সা.) কে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন শফিকুল ইসলাম।

মানববন্ধনে আহমাদুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, বিশ্ব মুসলমানদের হৃদয়ের স্পন্দন মহানবী (সা.) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য কোন মুসলমানই মেনে নিতে পারে না এসময় তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর দাবী জানান।

নেছার আহমাদ হাজারী বলেন, মুসলিমদের চিন্তা-চেতনায় আঘাত করা কোনভাবেই কাম্য নয়, মহানবী (সা.) কে নিয়ে বিদ্রুপ করা মুসলিমরা কখনোই মেনে নিবে না। সারাবিশ্বব্যাপী মুসলমানদের প্রতিবাদী কার্যক্রম আসলে মহানবী (সা.) এর প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে বিশ্বনবীর সম্মানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দেন নূপুর শর্মা। পরে একই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট দেন নাভিন কুমার জিন্দাল। এ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ প্রতিবাদ জানায়।